যেখানে গুলি থেমে যায়, সেখান থেকে শুরু হয় মালালার লড়াই

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি ছোট শহর, সোয়াত ভ্যালি—যেখানে তালেবানদের শাসন, ভয় আর নিরবতা ছিল প্রতিদিনের সঙ্গী। আর এই ভয়ের ভিতরেই জন্ম নিয়েছিল এক অদম্য কিশোরী, যার নাম মালালা ইউসুফজাই।

মাত্র ১১ বছর বয়সে মালালা শুরু করে বিবিসি উর্দু ব্লগে লেখালেখি, যেখানে সে লিখতো তালেবানদের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে, স্কুলে যাওয়ার অধিকার, ও নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে। তার কলম হয়ে উঠেছিল ভয়হীন প্রতিবাদের ভাষা। কিন্তু এই সাহসিকতা অনেকের চোখে ছিল ‘বিপদ’।

২০১২ সালে, স্কুল থেকে ফেরার পথে একটি বাসে ঢুকে তালেবান গুলি চালায় মালালার মাথায়। সারা পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসার জন্য মালালাকে নিয়ে যাওয়া হয় ইংল্যান্ডে। সবাই ভেবেছিল, তার গল্প সেখানেই শেষ। কিন্তু না।

সেখান থেকেই শুরু হয় নতুন এক মালালার জন্ম।

চিকিৎসা শেষে মালালা আবার উঠে দাঁড়ায়—আরও দৃঢ়, আরও সাহসী হয়ে। সে বলে,

“একটি শিশু, একটি শিক্ষক, একটি কলম এবং একটি বইই পারে পৃথিবীকে বদলে দিতে।”

২০১৪ সালে, মাত্র ১৭ বছর বয়সে, মালালা নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করে—ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী নোবেল বিজয়ী হিসেবে। সে গড়ে তোলে “Malala Fund”, যার মাধ্যমে এখনো বিশ্বের বহু অনগ্রসর দেশের মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *