ছেলেটা খুব সাধারণ ছিল। কোনো ধনী পরিবারে জন্ম হয়নি, রোল নাম্বার ১-ও ছিল না, পড়ালেখায় মাঝারি মানের। নাম ছিল Ma Yun—পরে সবাই তাকে চিনল Jack Ma নামে।
ছোটবেলায় Jack ইংরেজি শিখতে চাইতেন। চীনের হাংজু শহরে প্রতিদিন সাইকেল চালিয়ে হোটেলের সামনে যেতেন, ট্যুরিস্টদের ফ্রি গাইডিং করতেন—শুধু ইংরেজিতে কথা বলার সুযোগের জন্য।
যখন সবার না, তখন তার জন্য হ্যাঁ ছিল ভবিষ্যৎ।
Jack Ma জীবনে ৩০ টির বেশি চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন—সব জায়গা থেকে প্রত্যাখ্যাত হন।
KFC চীনে নতুন শাখা খোলে, ২৪ জন আবেদন করে, ২৩ জনকে চাকরি দেওয়া হয়—যে একজন বাদ পড়ে, সে ছিল Jack Ma।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে ১০ বার আবেদন করেন—প্রতিবারই রিজেক্ট।
কিন্তু Jack থেমে যাননি।
তিনি বলেছিলেন,
“আমি জানতাম আমি স্মার্ট না। কিন্তু আমি কখনো হার মানতাম না।”
১৯৯৫ সালে প্রথমবার ইন্টারনেট দেখেন তিনি।
একটা সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে লিখেন “Beer”।
বিভিন্ন দেশের বিয়ারের নাম আসে, কিন্তু চীনের কোনো তথ্য নেই। তখনই ভাবেন—চীনের জন্য একটা নিজস্ব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম দরকার।
১৯৯৯ সালে ১৮ জন বন্ধু নিয়ে শুরু করেন Alibaba।
না ছিল বড় কোনো ইনভেস্টর, না ছিল প্রচুর পুঁজি। শুধু ছিল একটা বিশ্বাস—“ছোট ব্যবসারাও দুনিয়া বদলাতে পারে।”
শুরুতে কেউ বিশ্বাস করেনি, অনেকেই উপহাস করেছে।
কিন্তু Jack জানতেন—“সবাই যখন বলে ‘তুমি পারবে না’, তখনই তুমি সবচেয়ে কাছাকাছি চলে আসো জেতার।”
আজ Alibaba মানে চীনের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস।